Monday, September 21, 2009

হরিণা-নিলয়

সুন্দর সাথে কাটে আজ সারাদিন
দু’এক মুহূর্ত যেন সুরভি রঙিন

হৃদয় গভীরে ঢাকা আফোটা গোলাপ
কবিতার ভালোলাগা,নেই কোনো পাপ

অস্ফুটে বলে ওঠে গোপন হৃদয় :
হরিণ জানে না তবু, ‘হরিণা-নিলয়’ !

একটি অপ্রেমের কবিতা

‘রমণী’ শব্দের পাশে প্রগাঢ় বিদ্বেষ
লিখে রাখি মাঝে মাঝে জাগে ক্ষণক্রোধ
প্রশমিত হলে ভাবি আমি কি নির্বোধ
মুছে ফেলি আলগোছে লাগে মোহাবেশ

জীবনানন্দের চোখে ধুলো,কাদা,ব্যথা
সোনার পিত্তলমূর্তি নারীরা অপ্রেম
ভুলে যায় অনায়াসে প্রতিশ্রুত কথা
নাগরিক এ জীবন রঙ্‌চটা ফ্রেম

সেই ফ্রেম তুলে এনে তরুণ প্রেমিক
আনমনে আঁকে তার আবেগ,প্রত্যাশা
সরল হৃদয়ে ভাবে তার ভালোবাসা
ছায়া নয়,কথা রাখে ধরা দেবে ঠিক

বৃথাই সে স্বপ্ন তার জীবন বাস্তব
প্রখর বাতাসে ছেঁড়ে অভুল বিশ্বাস
আহত বিস্ময়ে কাঁদে মেটে না তিয়াস
বোঝে প্রেম গূঢ় ফাঁকি মায়া-অবয়ব

তবুও কি স্বপ্ন প্রেম ফাঁকি,মায়া,মোহ?
মেধা ও আবেগ বলে প্রবল বিদ্রোহে
না,জলেরই মতন সে জীবন,নিঃশ্বাস
প্রেমেরই কবিতা লেখে পৃথিবী,আকাশ...

(উনিশ-কুড়ি-তে প্রকাশিত)

ধরে আছি ঈশ্বরের হাত

১.
ধরে আছি ঈশ্বরের হাত,তোমাকেও
অথচ শান্তি নেই
ত্রিপাদ বিন্দুর মাঝে আমরা অস্থির
প্রতিটি মুহূর্তেই
মনখারাপের ধুলো-হাওয়া
আর ঘুমভাঙা রাত
মায়ের দু’চোখে তবু আলো -

ধরে রাখি ঈশ্বরের হাত
আর তুমি?

২.
সহজে কি সব বাধা মুছে ফেলা যায়?
অমল স্বপ্নগুলো জটিল ধাঁধায়...
আনমনা হয়ে ভাবে আর কতদিন
বেদনাযাপন হলো অন্তবিহীন

তবুও তো শেষ কথা আজও বাকি থাকে-
ঈশ্বর,ঈশ্বর – ছেড়ো না আমাকে!