Thursday, June 7, 2012


রঙ্গিলা পাখির ডাকে       


রঙ্গিলা পাখির ডাকে আষাঢ় ঘনায়
যারা চলে যায় যেন ফিরে আসে কেউ;
হয়তো মুখের ছবি আবছা এখন
মন বলে চিনি শুধু ভুলে গেছি নাম
মেঘ-বাদলের খেলা, মৃদু অভিমান
জড়িয়ে নিয়েছে গায়ে মেদুর বিকেল
অনন্ত কথার ছায়া পড়েছে আকাশে
রাজপথে নেমে আসে তুমুল বর্ষণ –

পথে পথে ঘুরে কাটে কাজের প্রহর
রবীন্দ্র-গানের সুরে উদাসী এ-মন
সুর নয় কথা খুঁজি, কোনো এক নাম
হারানো যৌবন থেকে উঠে আসে স্মৃতি
মুঠোফোনে বাজে মৃদু রাতের রাগিণী
গানের আখরে গাঁথি সাহানায় বাণী... [দৈনিক কলম / সাহিত্য / এপ্রিল ২০১২]

Wednesday, March 31, 2010

কবিতার আলো একা

সফলতা আলো হয়ে এসে পড়ে মুখে

এখন সমস্ত প্রেম মেধার অসুখে

ল্যাপটপ স্ক্রিনে চোখ আঙুলে কীবোর্ড

গুগুলে বিশ্ব দেখি, চ্যাটরুমে রোজ –

কাউকে কি খুঁজি আমি? তেমন তো নয়

তাহলে কিসের টানে এত কথা ক্ষয়?

আসলে সমস্ত পাওয়া মেশে অবেলায়

চাওয়ার প্রহর কাটে অলীক খেলায় –

তাহলে কবিতা লেখা সেও শুধু খেলা ?

কেটেছে একেলা যত বিরহের বেলা

সে বিরহ জমে জমে স্তূপ হয়ে ওঠে

অথচ লাগে না ভার ! অসাড় স্নায়ুতে

মেধার প্রবল ঢেউ, বিদেহী ও’মন

প্রেমের কবিতা লিখে আবেগ মোক্ষণ

ঘটাতে পারিনি আমি, পথ খুঁজে ফেরা

রিসার্চ পেপার জুড়ে মেধাবী শব্দেরা

বইয়ের ভুবন থেকে আমার আঙুলে

কবিতার আলো, একা, আসে পথ ভুলে...

কবিতা বনিতা চ

।। ।।

কবিতা বনিতা হ’লে নিঃসঙ্গতা বাড়ে

তখন কবিতাই

ঘর,বাড়ি

এবং সন্তান

রাতের শয্যা জুড়ে স্বপ্নবিলাস –

কখনো স্বয়মাগতা শরীরের দাবি

উষ্ণ শব্দের মায়া তৃষ্ণা ভোলায়

।। ।।

ভেবেছি শাশ্বত ‘প্রেম’ তোমার-আমার

আমি তো হেরম্ব নই,

এই জেনে –

কিন্তু অমূল স্বপ্ন

অরণ্যে রোদন

আনন্দ কোথাও নেই কিংবা সুপ্রিয়া ...

পিছোতে পিছোতে কতদূর ?

।। ৩।।

সাজানো প্রেমের চিতা

শোকের মিছিল

স্তব্ধ

সময়, আলো

বিষণ্ণ অবসর :

‘গান নয়’

নিকষ অন্ধকারে প্রলয়ের ঢেউ গোনা...

# # #

ভালোবেসে ভুল হ’লে বাঁচি কবিতায় !

Monday, September 21, 2009

হরিণা-নিলয়

সুন্দর সাথে কাটে আজ সারাদিন
দু’এক মুহূর্ত যেন সুরভি রঙিন

হৃদয় গভীরে ঢাকা আফোটা গোলাপ
কবিতার ভালোলাগা,নেই কোনো পাপ

অস্ফুটে বলে ওঠে গোপন হৃদয় :
হরিণ জানে না তবু, ‘হরিণা-নিলয়’ !

একটি অপ্রেমের কবিতা

‘রমণী’ শব্দের পাশে প্রগাঢ় বিদ্বেষ
লিখে রাখি মাঝে মাঝে জাগে ক্ষণক্রোধ
প্রশমিত হলে ভাবি আমি কি নির্বোধ
মুছে ফেলি আলগোছে লাগে মোহাবেশ

জীবনানন্দের চোখে ধুলো,কাদা,ব্যথা
সোনার পিত্তলমূর্তি নারীরা অপ্রেম
ভুলে যায় অনায়াসে প্রতিশ্রুত কথা
নাগরিক এ জীবন রঙ্‌চটা ফ্রেম

সেই ফ্রেম তুলে এনে তরুণ প্রেমিক
আনমনে আঁকে তার আবেগ,প্রত্যাশা
সরল হৃদয়ে ভাবে তার ভালোবাসা
ছায়া নয়,কথা রাখে ধরা দেবে ঠিক

বৃথাই সে স্বপ্ন তার জীবন বাস্তব
প্রখর বাতাসে ছেঁড়ে অভুল বিশ্বাস
আহত বিস্ময়ে কাঁদে মেটে না তিয়াস
বোঝে প্রেম গূঢ় ফাঁকি মায়া-অবয়ব

তবুও কি স্বপ্ন প্রেম ফাঁকি,মায়া,মোহ?
মেধা ও আবেগ বলে প্রবল বিদ্রোহে
না,জলেরই মতন সে জীবন,নিঃশ্বাস
প্রেমেরই কবিতা লেখে পৃথিবী,আকাশ...

(উনিশ-কুড়ি-তে প্রকাশিত)

ধরে আছি ঈশ্বরের হাত

১.
ধরে আছি ঈশ্বরের হাত,তোমাকেও
অথচ শান্তি নেই
ত্রিপাদ বিন্দুর মাঝে আমরা অস্থির
প্রতিটি মুহূর্তেই
মনখারাপের ধুলো-হাওয়া
আর ঘুমভাঙা রাত
মায়ের দু’চোখে তবু আলো -

ধরে রাখি ঈশ্বরের হাত
আর তুমি?

২.
সহজে কি সব বাধা মুছে ফেলা যায়?
অমল স্বপ্নগুলো জটিল ধাঁধায়...
আনমনা হয়ে ভাবে আর কতদিন
বেদনাযাপন হলো অন্তবিহীন

তবুও তো শেষ কথা আজও বাকি থাকে-
ঈশ্বর,ঈশ্বর – ছেড়ো না আমাকে!

Saturday, May 23, 2009

বল্মীক স্তূপের থেকে

‘ভালোবাসা ব্যথা দেয় যারে ভালোবাসে...’
- গীতবিতান

নিয়ত আঘাত করে তোমার বিস্মৃতি
যেন তুমি অন্য কোনো নারী
ফলত বিষণ্ণ আমি!

তুলসীতলায় জ্বলা একলা প্রদীপ
আমার মায়ের গূঢ় স্নেহ
তারপর তুমি : অর্ধেক আকাশ
আমাকে নিবিড় করে জানো –

তবু অনুখন কেন
বিফল প্রতীক্ষা করো জমা
বল্মীক স্তূপের মতো ?
চাপা অভিমান

আমার এ প্রেম শুধু, অনিঃশেষ ক্ষমা...